শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জামিন পেয়ে যা বললেন বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

জামিন পেয়ে যা বললেন বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর

মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ফরিদপুরে দায়ের করা মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) তাকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেওয়া হয়েছে।

জামিন আদেশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীর বলেন, আমি এই মুহূর্তে মামলায় ন্যায়বিচার পেয়েছি। ভবিষ্যতেও আদালতে ন্যায়বিচার পাবো বলে আশাবাদী। আমি আমার মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।


বিজ্ঞাপন


জাহাঙ্গীর বলেন, আমি জানতাম না ফরিদপুরে আমার নামে মামলা হয়েছে। আমি গত পরশু দিন জানতে পারি আমার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পরে বিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে আদালত থেকে আজ আগাম জামিন নিলাম। এই মামলায় আদালত আমাকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাহাঙ্গীর আলম আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।

গত ৩১ আগস্ট ফরিদপুরের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

আজ আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ।


বিজ্ঞাপন


এর আগে গত ৪ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে দায়ের করা সাত মামলায় জাহাঙ্গীর আলম আগাম জামিন পান। ওইদিন পঞ্চগড়, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নওগাঁ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জে দায়ের করা মামলায় তিনি জামিন পেয়েছিলেন।

গত ২৫ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মাদারীপুর আদালতে মামলা হয়। মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক বাবুল আখতার বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীর।

পরে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এআইএম/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর