মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২২, ০৪:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
ফাইল ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে আদালতে তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। তিনজনকে নিয়ে মামলাটি মোট ৩৯ জনের মতো ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।


বিজ্ঞাপন


সাক্ষীরা হলেন-সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, সিটি ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ খান ও রেবেকা সুলতানা।

সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়৷ তিন সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী জেরা করেন। জেরা শেষ হলে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর আদালত সেলিম প্রধানের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটিতে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছিল। এই উপ-পরিচালকই মামলাটি তদন্ত করে শেষ পর্যন্ত তার নামে মোট ৫৭ কোটির বেশি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেলিম প্রধান র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। 

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুর্নীতির মাধ্যমে ও ক্যাসিনো খেলে সেলিম প্রধান মোট ৫৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার। ক্যাসিনো খেলে অর্জিত ২১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা পাচার করেছেন থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে।

সেলিম জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং পেপার্সের চেয়ারম্যান। এই কোম্পানিতে তার ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৬৯ হাজার শেয়ারের বিপরীতে এখানে বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে ৬৯ লাখ টাকা। তবে সেলিম প্রধানের নামে শেয়ার মানি ডিপোজিট পাওয়া গেছে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫০ টাকা। এই টাকা তিনি অর্জন করেছেন অবৈধভাবে।

প্রিন্টিং পেপার্স কোম্পানি ২০১০ সালে মুনাফা করে ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৩ টাকা। ২০১১ সালে মুনাফা করে ১ কোটি ৪৬ লাখ ২১ হাজার ৭২ টাকা। এখান থেকে ২০১১-১২ অর্থবছরে ৮ কোটি টাকা ঋণ নেন বলে সেলিম প্রধান তার ব্যক্তিগত আয়কর নথিতে উল্লেখ করেছেন। তবে এই কোম্পানি থেকে কীভাবে ঋণ গ্রহণ করেছেন এ সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র নেই তার কাছে।

টিএ/এমআর

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর