শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

যতদিন বেঁচে আছি মানুষের জন্য কাজ করব: ব্যারিস্টার সুমন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২২, ০৩:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

যতদিন বেঁচে আছি মানুষের জন্য কাজ করব: ব্যারিস্টার সুমন
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (ফাইল ছবি)

রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ও সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শিদীর বাড়ির বিষয় তদন্ত করতে পৃথক দুটি আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এরপর তিনি তার ফেসবুক পেজে লাইভে এসে বলেছেন, যতদিন বেঁচে আছি মানুষের জন্য কাজ করব।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে তিনি আবেদন দুটি দাখিল করেন।


বিজ্ঞাপন


ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সরকার দলীয় এমপি ও ব্যবসায়ী নেতা আব্দুস সালাম মুর্শিদী গুলশান-২ এ সরকার ও গণপূর্তের একটি জায়গা দখল করে আছেন জালিয়াতির মাধ্যমে। এসব শক্তিশালী লোকের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে দুদকের তদন্ত করা উচিত। তদন্ত না করলে, ব্যবস্থা না নিলে দুর্নীতি দমন হবে না।

আরও পড়ুন: ওসির ৮ তলা বাড়ির অনুসন্ধান চেয়ে ব্যারিস্টার সুমনের রিট

এর আগে গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) রাজধানীতে আটতলা বাড়ি-প্লটসহ বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে রিট করেন তিনি। 

ওসির এই বিপুল সম্পদ নিয়ে গত ৫ আগস্ট একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনার পর রিট করেন ব্যারিস্টার সুমন।


বিজ্ঞাপন


৫ আগস্টের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এই বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’

আরও পড়ুন: ওসির বিরুদ্ধে রিট করে শংকায় ব্যারিস্টার সুমন

‘সরকারি একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ওসি মনিরুলের এসব অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ সূত্র বলছে, যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার সম্পদের পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সাকল্যে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এই সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন।’

এআইএম/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর