শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ওসির ৮ তলা বাড়ির অনুসন্ধান চেয়ে ব্যারিস্টার সুমনের রিট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২২, ১২:৩০ পিএম

শেয়ার করুন:

ওসির ৮ তলা বাড়ির অনুসন্ধান চেয়ে ব্যারিস্টার সুমনের রিট

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ ও মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে রিট করা হয়েছে।

বুধবার (১০ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন রিটটি করেন। এতে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানি হতে পারে।

এর আগে গত ৮ আগস্ট রাজধানীতে আটতলা বাড়ি-প্লটসহ বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিপুল সম্পদের বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন তিনি। 

গত ৫ আগস্ট একটি জাতীয় পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওইদিন আদালত থেকে বেরিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ব্যারিস্টার সুমন। তিনি বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তার এত সম্পদ হয় কীভাবে? তার বেতন ভাতা এত বেশি না যে তিনি এই পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন। বুঝা যাচ্ছে তিনি অসাধু ইনকাম করেছেন। তার এসব সম্পদ দেখে নৈতিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরাও দুর্নীতিবাজ হয়ে যাবেন।

এর আগে গত ৫ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি ও প্লটসহ এই বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’


বিজ্ঞাপন


‘সরকারি একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ওসি মনিরুলের এসব অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ সূত্র বলছে, যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার সম্পদের পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সর্বসাকুল্যে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এই সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন।’

এআইএম/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর