শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

খালাস পেয়েও কনডেম সেলে ৭ বছর: যা বললেন হাইকোর্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ আগস্ট ২০২২, ১২:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

খালাস পেয়েও কনডেম সেলে ৭ বছর: যা বললেন হাইকোর্ট
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের জানে আলম হত্যা মামলায় ৭ বছর আগে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আবুল কাশেমকে কনডেম সেলে রাখার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) এ বিষয়ে একটি প্রকাশিত প্রতিবেদন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।


বিজ্ঞাপন


এ সময় আদালত আইনজীবীকে বলেন, আপনি আবেদন নিয়ে আসুন আমরা বিষয়টি দেখব। 

এর আগে গতকাল ৩ আগস্ট ‘বিনা দোষে কারাগারে কনডেম সেলে ৭ বছর!’ শিরোনামে সংবাদপ্রকাশ করে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তার খালাস পাওয়ার আদেশ যথাসময়েই উচ্চ আদালত থেকে পৌঁছেছে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। কিন্তু আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেনি ৭ বছর ৩ মাস ১১ দিনেও। একটি মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত হাজিরা দিতে এলে আবুল কাশেমকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।

সেই দিন থেকে কারাগারের কনডেম সেলে আছেন আবুল কাশেম। তিনি লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে।


বিজ্ঞাপন


আদালত সূত্র জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ মার্চ রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ায় জানে আলেম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন আবুল কাশেম। লোহাগাড়া থানার মামলা নম্বর ২১ (৩১/৩/২০০২) ও দায়রা নম্বর ৩০৮/২০০৪। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই আবুল কাশেমসহ ১২ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আবুল কাশেম রায়ের সময় পলাতক ছিলেন। হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স নম্বর ৫৪/২০০৭। গত ২০১৩ সালের ১১ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও শহীদুল করিমের বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে আসামি আবুল কাশেমকে খালাস দেন। 

২০১৩ সালের ১১ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে পলাতক আবুল কাশেমের করণির ভুলের কারণে কার্যকর অংশে অন্তর্ভুক্ত না হওয়াতে একই বেঞ্চ বিগত ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সম্পূরক আদেশে আবুল কাশেমকে খালাস প্রদানের বিষয়ে সুস্পষ্ট আদেশ দেন। অন্য একটি মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত হাজিরা দিতে আসলে আবুল কাশেমকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়। সেই থেকে আবুল কাশেম চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রয়েছেন।  

কারাগারে থাকা আবুল কাশেমের বোন শাহেদা বেগম সাজু গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর  তিন মাস ১১দিন বিনা বিচারে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর কনডম সেলে আছে আমার ভাই। আমার ভাইয়ের মুক্তি চাই, এভাবে বিনা বিচারে আর কত দিন কারাগারে থাকবে? দেশে কি আইনের শাসন নেই? আমার ভাই বিনা বিচারে কারাগারে থাকাটার সময়টা কেউ কি ফিরিয়ে দিতে পারবে?

এআইএম/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর