শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৫৫ দিন পর জনসম্মুখে বিচারপতি ইমান আলী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

৫৫ দিন পর জনসম্মুখে বিচারপতি ইমান আলী

ছুটি শেষে ৫৫ দিন পর জনসম্মুখে এলেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী।

গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে জনসম্মুখে কোনো প্রোগ্রামে দেখা যায়নি এই বিচারপতিকে। ওই সময় প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে। তিনি বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর পরে জজ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।


বিজ্ঞাপন


শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোলা জেলার বিচারক ও প্যানেল মেডিয়েটরদের ৪০ ঘণ্টাব্যাপী ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস) নামের একটি সংস্থা এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।

এতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ভোগান্তি কমাতে মামলাজট নিরসনে একটা নতুন পথে যাচ্ছি। 

মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, পথটি হচ্ছে মেডিয়েশন। মেডিয়েশনটা সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। বিচারকদের মেডিয়েশন বেনিফিটগুলো বিচার প্রার্থীদের বুঝাতে হবে। গণমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়ায় মেডিয়েশন বিষয়ে প্রচারণা বাড়াতে হবে।

আপিল বিভাগের এই বিচারপতি বলেন, বিচার প্রার্থীদের যদি মেডিয়েশনের উপকারিতাগুলো বুঝাতে পারি তাহলে তারা মেডিয়েশনের দিকে চলে আসবে।


বিজ্ঞাপন


বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুঃখ করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের আইনের কাঠামো বদলাতে হবে। কারণ মামলাজট, মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে মানুষ বিচার পাচ্ছে না। বিকল্প একটা ব্যবস্থা বের করতে হবে। তিনি এসব কথা বলেছিলেন সত্তরের দশকে। সেই বিকল্প ব্যবস্থা এখন হতে পারে মেডিয়েশন। বর্তমানে বিমসের উদ্যোগে আমরা বাংলাদেশে মেডিয়েশন ব্যবস্থাটা তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

‘২০২১ সালের প্রথমেই আমরা রংপুরের বিচারকদের মেডিয়েশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেই। এরপর ধারাবাহিকভাবে সব বিভাগের বিচারকদের মেডিয়েশন বিষয়ে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ২১ মার্চ  সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটা সার্কুলার ইস্যু করা হয়, যেখানে নিম্ন আদালতের সকল বিচারকদের জন্য মেডিয়েশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, আমরা মেডিয়েশন সম্পর্কে সচেতন করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। মেডিয়েশন আইনে আছে, করতে হবে, করো বললেই হবে না। সুপ্রিম কোর্ট থেকে ২০২১ সালের ৫ আগস্ট মেডিয়েশন পদ্ধতি কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে সে বিষয়ে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। সেই গাইডলাইনে বলে দিয়েছি, পক্ষদ্বয়কে বিশেষ করে আইনজীবীদের বোঝাতে হবে মেডিয়েশন কি জিনিস। মেডিয়েশনের উপকারিতাগুলো বুঝাতে হবে। আমরা বলে দিয়েছি মেডিয়েশনের মাধ্যমে কেউ মামলা নিষ্পত্তি করতে বাধ্য নয়। মেডিয়েশনের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি না হলে তখন কোর্টে যেতে পারেন। সাধারণ মানুষ মেডিয়েশনের সৌন্দর্য বুঝতে পারলে তারা মেডিয়েশনের মাধ্যমে বিরোধ বা মামলা নিষ্পত্তি করতে উদ্বুদ্ধ হবে। 

ভোলা জেলার ১৯ জন বিচারক ও ২০ জন প্যানেল মেডিয়েটর প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন।

এআইএম/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর