রোববার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মারুফ মল্লিক ও অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন মাহমুদুর রহমানের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

মারুফ মল্লিক ও অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন মাহমুদুর রহমানের
এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো ও মারুফ মল্লিক

বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো এবং লেখক এফ এম রাশেদুল হক মল্লিক ওরফে মারুফ মল্লিকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে মাহমুদুর রহমান নিজে উপস্থিত হয়ে মামলার আবেদন দাখিল করেন।


বিজ্ঞাপন


প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার ভবনে আগুন ও হামলার ঘটনায় আমার দেশ পত্রিকা ও সম্পাদক নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন মাহমুদুর রহমান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন জানান, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন এবং এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আবেদনটি অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে।

মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘জুলাই বিপ্লব’ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এর পরদিন গভীর রাতে কিছু দুর্বৃত্ত কাওরানবাজারে অবস্থিত দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালায়। এই অনভিপ্রেত ঘটনার সুযোগ নিয়ে একটি গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা ও এর সম্পাদককে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণায় নামে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, ওই ঘটনার পরপরই আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন কিছু লেখা ও মন্তব্য প্রকাশ করেন, যাতে দৈনিক আমার দেশকে উক্ত হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। বাদীর ভাষ্য অনুযায়ী, এসব পোস্ট ছিল সম্পূর্ণ বানোয়াট, প্রমাণহীন ও উসকানিমূলক। যার উদ্দেশ্য ছিল জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং সমাজে অস্থিরতা বাড়ানো।


বিজ্ঞাপন


অভিযোগে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারুফ মল্লিক ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যেখানে তিনি আমার দেশ পত্রিকা ও এর সম্পাদককে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িয়ে দায়ি করার চেষ্টা করেন। ওই পোস্টে ঘৃণা, বিদ্বেষ ও শত্রুতা উসকে দেওয়ার উপাদান ছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো সেই বক্তব্যকে সমর্থন করে ফেসবুকে মন্তব্য ও লেখার মাধ্যমে বিষয়টি আরও ছড়িয়ে দেন।

মাহমুদুর রহমান তার আবেদনে উল্লেখ করেন, তিনি যখন কাওরান বাজারে অবস্থিত নিজের পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন, তখন এসব পোস্টের বিষয়ে অবগত হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তার অভিযোগ, আসামিদের এই ধরনের প্রচারণার ফলে শুধু তার ব্যক্তিগত সম্মানই ক্ষুণ্ন হয়নি, বরং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ছাড়া মামলায় বলা হয়, এই ফেসবুক পোস্টগুলোর কারণে পত্রিকাটির সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতিও জনমনে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও অসন্তোষ ছড়ানো হয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে সামাজিক শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। এসব কারণ দেখিয়ে আদালতের কাছে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান বাদী।

এমআইকে/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর