ই-সিগারেট নিষিদ্ধের প্রস্তাব দিয়ে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তামাক ব্যবহার ক্যান্সারসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বাংলাদেশে প্রতি বছর এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিদ্যমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ আজ অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। অধ্যাদেশ জারির লক্ষে অবিলম্বে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং গ্রহণ করতে হবে।
অনুমোদিত অধ্যাদেশের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো—
১. ইমার্জিং টোব্যাকো প্রডাক্টস, যেমন—ই-সিগারেট (e-cigarette) বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ENDS), হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট (HTP) ইত্যাদির ব্যবহার, উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
২. ‘তামাকজাত দ্রব্য’-এর সংজ্ঞার আওতায় নিকোটিন পাউচ (Nicotine Pouch) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৩. পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহণে ধূমপানের পাশাপাশি সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (Designated Smoking Area-DSA) রাখার বিধান সরকারের নির্দেশনার শর্তাধীন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
৪. ‘পাবলিক প্লেস’ ও ‘পাবলিক পরিবহন’-এর সংজ্ঞা ও অধিক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
৫. বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনসহ ইন্টারনেট বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের সব প্রকার বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রসার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৬. তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের গায়ে বিদ্যমান ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ৭৫ শতাংশ এলাকা জুড়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবাণী মুদ্রণের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
এসএইচ/ক.ম

