সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই শামীম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসআই শামীম হোসেন জানান, এ দিন পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজনীন নাহারসহ কয়েকজন আইনজীবী তার কারাগারে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ১৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর মধ্যরাতে ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য আরিয়ান আহমেদ আনিস আলমগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার’ অভিযোগ আনেন। এই মামলায় আরও তিন আসামি হলেন-অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, মারিয়া কিসপট্টা (ফ্যাশন মডেল) ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজের (উপস্থাপক)। পরদিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
বিজ্ঞাপন
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আনিস আলমগীরকে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্যাদি যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। যাচাইকালে তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে পুনরায় রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এ অবস্থায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ক.ম/

