বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ট্রাইব্যুনালে নিজের বিচার সরাসরি সম্প্রচারের আবেদন ইনুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

ট্রাইব্যুনালে নিজের বিচার সরাসরি সম্প্রচারের আবেদন ইনুর

২০২৪ সালে সংগঠিত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ায় সংঘটিত ছয়টি হত্যা, উসকানি ও ষড়যন্ত্রসহ মোট আট অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। বিচারকার্য স্বচ্ছতার স্বার্থে এই বিচার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের জন্য নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ আবেদন উপস্থাপন করেন ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। এ বিষয়ে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন।


বিজ্ঞাপন


মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। তার সঙ্গে রয়েছেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদসহ অন্যরা। এদিন ষষ্ঠ দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে কাশিমপুর কারাগার-২ এর সাবেক ডেপুটি জেলার সাখাওয়াত হোসেন পঞ্চম নম্বর ও জব্দতালিকার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর তিনি ট্রাইব্যুনালে নিজের সাক্ষ্য পেশ করেন।

এর আগের দিনগুলোতেও ধারাবাহিকভাবে সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) মামলার পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে সাখাওয়াত হোসেন জব্দতালিকার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। একই দিনে সিআইডির ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের উপপরিদর্শক শাহেদ জোবায়ের লরেন্স—মামলার চতুর্থ সাক্ষী—তার অবশিষ্ট জবানবন্দি উপস্থাপন করেন। জবানবন্দি শেষে তাকে জেরা করেন ইনুর আইনজীবী। তিনি এর আগে ৮ ডিসেম্বর সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

এরও আগে ৭ ডিসেম্বর তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়। ওই দিন তদন্ত সংস্থার রেকর্ড সংরক্ষণকারী এসআই মো. কামরুল হোসেন জব্দতালিকার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। ২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনের জেরা শেষ হয়, যেখানে বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহাকে জেরা করা হয়। তিনি ১ ডিসেম্বর সাক্ষ্য দেন।

মামলার প্রথম সাক্ষী মো. রাইসুল হক একই দিনে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেন। তিনি জানান, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়া শহরের একটি মেসে অবস্থানকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় প্রত্যক্ষ নির্দেশ ও উসকানি ছিল ইনুর। হামলায় তার কপালে গুলি লাগলেও তিনি প্রাণে বেঁচে যান। ওই ঘটনায় ছয়জন শহীদ হন। এসব বিবেচনায় ট্রাইব্যুনালের কাছে ইনুর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


এদিকে ৩০ নভেম্বর মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। একই দিন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে ইনুর করা রিভিউ আবেদনের শুনানি হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল ইনুর আবেদন খারিজ করেন। এর আগে ২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে আনা আটটি অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

এমআর/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর