বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মামলায় ১২ কোটি টাকা ফি তদন্তে রিট, শুনানিতে অনাগ্রহ ইউসুফ আলীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২২, ১২:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

মামলায় ১২ কোটি টাকা ফি তদন্তে রিট, শুনানিতে অনাগ্রহ ইউসুফ আলীর

গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে এক মামলায় আইনজীবী মো. ইউসুফ আলীর ১২ কোটি টাকা ফি নেওয়ার ঘটনা তদন্তে রিট শুনানির জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের (কজলিস্টে) কার্যতালিকায় রয়েছে আজ। হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ শুনানি হবে। কিন্তু এ রিটের শুনানিতে অংশ নিতে অনাগ্রহ জানিয়েছেন ইউসুফ আলী।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ঢাকা মেইলকে এমন তথ্য জানান তিনি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগেই তো বলেছি, তদন্তে আমার কোনো আপত্তি নাই। সঠিক তদন্তে কেবল সত্যই বেরিয়ে আসবে।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (৬ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।

রিটে বার কাউন্সিলের সচিব, অভিযুক্ত আইনজীবী ইউসুফ আলীসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

গত ৩০ জুন গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় রিটকারীদের আইনজীবীকে ১২ কোটি টাকার বিনিময়ে সমঝোতার অভিযোগ ওঠে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) এ বিষয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, আমরা শুনেছি শ্রমিকদের আইনজীবীকে অর্থের বিনিময়ে হাত করে তাদেরকে মামলায় আপস করতে বাধ্য করা হয়েছে। আদালতকে ব্যবহার করে অনিয়ম যেন না হয়ে থাকে। যদি সবকিছু আইন অনুযায়ী না হয় তবে বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখা হবে। আমি চাই না কোর্ট এবং আইনজীবীর সততা নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন ওঠে।


বিজ্ঞাপন


এ সময় আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে আরও বলেন, বাংলাদেশ কেন, উপমহাদেশের এমন কোনো আইনজীবী জন্ম নেয়নি যার ফিস ১২ কোটি টাকা হবে।

এ পর্যায়ে আদালত উভয়পক্ষের আইনজীবীকে ডাকেন। প্রথমে ড. ইউনূসের আইনজীবীকে বলেন, আপনি কত টাকা ফিস নিয়েছেন? তখন আইনজীবী উত্তরে বলেন, আমি ২০ লাখ টাকা নিয়েছি। আদালত বলেন, আপনি তো ২০ লাখ নিয়েছেন, কিন্তু চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের আইনজীবী কীভাবে ১২ কোটি টাকা নেন।

এরপর আদালত শ্রমিকরা কে কত টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন তার তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নথিও দাখিল করতে বলা হয়েছে। এসময় আইনজীবীরা আদালতকে জানান চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা এখন পর্যন্ত ৩৮০ কোটি টাকা পেয়েছেন। বাকি আট শ্রমিকের মধ্যে চারজন দেশের বাইরে থাকায় তাদের টাকা পরিশোধ করা হয়নি। আর চারজন শ্রমিক মারা যাওয়ায় তাদের ওয়ারিশ জটিলতা নিরসন না হওয়ায় অর্থ পরিশোধ সম্ভব হয়নি।

এআইএম/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর