সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সংসদ নির্বাচন স্থগিত চাওয়া রিট খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

court

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


বিজ্ঞাপন


আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করেন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম।

রিটে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পরিবর্তে জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনপ্রক্রিয়া স্থগিত রাখার আবেদনও করা হয়।


বিজ্ঞাপন


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রুলের জবাব চাওয়া হয়।

রিটে বলা হয়, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সব সহযোগিতা প্রদান করবে। কিন্তু সংবিধান লঙ্ঘন করে প্রতিটি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগকে দেওয়া হয়। নির্বাহী বিভাগ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের চাহিদা মোতাবেক নির্বাচন পরিচালনা করে। ফলে নির্বাচন নিয়ে নানামুখী বিতর্ক তৈরি হয়। 

রিটকারী আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম সে সময় বলেন, বর্তমানে নির্বাহী বিভাগ তাদের আস্থা, গ্রহণযোগ্যতা ও দায়িত্ববোধ হারিয়ে ফেলেছে। তাদের দ্বারা সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হবে এটা কেউ বিশ্বাস করে না। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব লোকবল থেকে সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।

তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ডিসিদের সঙ্গে নির্বাচনের ব্যাপারে মতবিনিময় করছেন এবং তাদেরকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আবারও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিলে আরেকটি প্রভাবিত নির্বাচন হবে সেটা নিশ্চিত।

এই আইনজীবী আরও বলেন, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন আদৌ সম্ভব নয়।

সে সময় আগামী সপ্তাহে (চলতি সপ্তাহ) হাইকোর্টে রিটটির শুনানি হতে পারে বলে জানা যায়। সেই মতো আজ শুনানি হলো। খারিজ হয়ে গেল আইনজীবী ইয়ারুলের রিট। 

এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর