আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগের শুনানিতে অংশ নিতে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আইনজীবীদের নিয়ে ট্রাইব্যুনাল ১- এ হাজির হন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি ও আদেশ দেবেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন-বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
২৬ নভেম্বর ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। সেদিন ট্রাইব্যুনাল-১-এ অভিযোগটি করেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।
অভিযোগে বলা হয়, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে ফজলুর রহমান বলেছেন, তিনি এই ট্রাইব্যুনাল মানেন না। তার যুক্তি, এই ট্রাইব্যুনাল তৈরি হয়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য। এই ট্রাইব্যুনালে অন্য কোনো বিচার হতে পারে না।
বিজ্ঞাপন
প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন বলেছিলেন, এই ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, ক্রাইম অ্যাগেইনস্ট পিসের বিচার করতে পারেন। এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে। ফজলুর রহমানের মাথায় শুধু যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি আছে।
প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে গত ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি শুনানি নিয়ে ফজলুর রহমানকে আদালত অবমাননার অভিযোগে শোকজ নোটিশ জারি করে এবং আজ সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়।
আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, নোটিশে তা জানতে চাওয়া হয়। সেদিন তাকে তলবও করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ফজলুর রহমানকে আজ আদালতে হাজিরা দিতে যান।
তাকে নিজের সব একাডেমিক সনদ ও আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল প্রদত্ত সনদও নিয়ে আসতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশনে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন ফজলুর রহমান।
এসএইচ/এমআর

