শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

কারাগারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২২, ০৪:৫৪ পিএম

শেয়ার করুন:

কারাগারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
ফাইল ছবি

মামলার প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করতে দেশের সব কারাগার ও থানায় ক্রমান্বয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর নির্দেশনা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন আদালত।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের ৬ পৃষ্ঠার ওই রায়টি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব থানা ও কারাগারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আসামিদের তথ্য সংরক্ষণ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

আইনজীবীর দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল নাশকতার একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীকালে ওই মামলায় পুলিশ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের শাহজাদপুর গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে মোদাচ্ছের আনছারীকে গ্রেফতার করে। তবে গ্রেফতারের মোদাচ্ছের তাঁর নাম-ঠিকানা গোপন করে নিজেকে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আজগর আলী মোল্লাবাড়ি মসজিদ রোড এলাকার মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের ছেলে মোহাম্মদ জহির উদ্দিন নামে পরিচয় দেন। এরপর ওই বছরের ৩১ অক্টোবর মোদাচ্ছের জামিন পেয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে আত্মগোপন করেন। তিনি জহির উদ্দিন নামেই আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন।

পরবর্তীকালে জহির উদ্দিনসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এরপর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর জহিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এক আদেশে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার কার্যকারিতা স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে নোয়াখালীর জহির উদ্দিন ওই মামলার প্রকৃত আসামি কি না, তা তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


এরপর তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলমের দাখিল করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জহির উদ্দিনকে খিলগাঁও থানার মামলায় (নম্বর-১২(৪)১৩) গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি হিসেবে চিহ্নিত করার মতো পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। জহির উদ্দিন প্রকৃতপক্ষে গ্রেফতারি পরোয়ানাধারী ব্যক্তি নন, প্রকৃত আসামি মোদাচ্ছের আনছারী ওরফে মোহাদ্দেস।

সবশেষে শুনানি শেষে আদালত বিভিন্ন মামলার প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করতে দেশের সব কারাগার ও সব থানায় ক্রমান্বয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার নির্দেশনা দিয়ে সংক্ষিপ্ত রায় দেন।

এআইএম/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর