বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বাসা ছাড়তেই হচ্ছে ঢাবি শিক্ষক মোর্শেদকে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২২, ০৪:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

বাসা ছাড়তেই হচ্ছে ঢাবি শিক্ষক মোর্শেদকে
ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানের বাসা ছাড়ার নোটিশের স্থগিত আবেদন খারিজ করেছেন আদালত। এ আদেশের ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা ছাড়তেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।


বিজ্ঞাপন


এ দিন আদালতে মোর্শেদ হাসানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ মোহাম্মাদ মোরসেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, ঢাবি শিক্ষকের আবেদনটি রিজেক্ট করে দিয়েছেন আদালত। এ আদেশের ফলে তাকে বাসা ছাড়তেই হচ্ছে।

এর আগে গত ২৯ জুন ঢাবি কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা থেকে অব্যাহতি দিয়ে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা ছাড়ার নোটিশ দেন। পরে সেই নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান। শুনানি শেষে আদালত আজ এই রায় দিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকের স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লেখেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান। পরবর্তীকালে ওই নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনে ছাত্রলীগ।


বিজ্ঞাপন


ওই ঘটনায় তাকে বরখাস্ত করার দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও ওই লেখার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এরপর ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেটের এক সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এই শিক্ষককে।

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার উত্তর ফুলার রোডের ৩৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২৮শ’ বর্গফুটের বাসায় থাকছেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। পরে চাকরি থেকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করতে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

এআইএম/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর