খালাস পেলেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) দায়ের করা মামলায় সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এছাড়াও এই মামলায় খালাস পেয়েছেন আরও দুইজন। তারা হলেন, বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন ও মীর মো. হেলাল উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের সাজার রায় বাতিল করে এ রায় দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন, জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ গুলশান থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। এই মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই মীর নাসির উদ্দিনকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হলে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাসিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেয়। পরে হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ৩ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বাবা–ছেলের করা পৃথক আপিল হাইকোর্টে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আপিলের ওপর পুনরায় শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেয়। এই রায়ে মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে ১৩ বছরের এবং মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে তারা পৃথক লিভ টু আপিল করেন। শুনানি নিয়ে এই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সাজা স্থগিত করে আদেশ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ।