শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় বৃহস্পতিবার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৬ এএম

শেয়ার করুন:

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় বৃহস্পতিবার
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় বৃহস্পতিবার

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মামলায় হাইকোর্টে খালাস পাওয়া সব আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর)।

মঙ্গলবার আপিল বিভাগে মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।


বিজ্ঞাপন


এর আগে, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন। হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। ফলে ২০১৮ সালে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ডের রায় বাতিল হয়।

হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে এবং গত ১ জুন আপিল বিভাগ এই আপিলের অনুমতি দেয়। এরপর থেকে নিয়মিত শুনানির মধ্য দিয়ে এখন রায় ঘোষণার পর্যায়ে পৌঁছেছে মামলাটি।

তারেক রহমানের আইনজীবী ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, তারা মামলাটিতে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। অন্যদিকে, লুৎফুজ্জামান বাবরের আইনজীবী শিশির মনির জানান, তদন্ত শুরু থেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল এবং সেটি মামলাটিকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মামলাটির রায় দেয়। ওই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১৯ জন হলেন: লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ এবং মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।

এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৯ জন আসামি হলেন: তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া (পলাতক), হারিছ চৌধুরী (পলাতক), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক), শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর, আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন (পলাতক), আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন (পলাতক), মো. খলিল (পলাতক), জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর (পলাতক), মো. ইকবাল (পলাতক), লিটন ওরফে মাওলানা লিটন (পলাতক), মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), মুফতি আবদুল হাই (পলাতক) এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু (পলাতক)।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সে সময় দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ভাষণ শেষ করে গাড়িতে ওঠার সময় টার্গেট করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েক শতাধিক নেতা-কর্মী। তাদের মধ্যে অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান।

এআইএম/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর