শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন বন্ধে ‘ডাটা মাইনিং প্রতিরোধে নোটিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম

শেয়ার করুন:

নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন বন্ধে ‘ডাটা মাইনিং প্রতিরোধে নোটিশ

বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৩(খ) অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের চিঠিপত্র ও অন্যান্য যোগাযোগের গোপনীয়তার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। কিন্তু ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলসহ বিভিন্ন বহুজাতিক ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নাগরিকদের ব্যক্তিগত অনুসন্ধান, অনলাইন ব্রাউজিং, যোগাযোগ ও আগ্রহের তথ্য বেআইনিভাবে সংগ্রহ করছে বা ডাটা মাইনিং করছে এবং সেই তথ্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করছে। এর ফলে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে এবং তাদেরকে লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন পাঠানো হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের ব্যক্তিগত জীবন, মর্যাদা ও মৌলিক অধিকার গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) এ বিষয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


নোটিশটি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ও ইমেইলের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর নিকট পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকারকে অবিলম্বে একটি জাতীয় ডেটা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে, যেখানে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের অননুমোদিত ডাটা মাইনিং এবং তার বাণিজ্যিক ব্যবহার স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া একটি স্বাধীন ডেটা প্রোটেকশন অথরিটি গঠন করতে হবে, যা ইন্টারনেটভিত্তিক কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করবে। একই সঙ্গে বিটিআরসিকে বাধ্যতামূলকভাবে গোপনীয়তা সুরক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের ক্ষমতা দিতে হবে। কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে তারা কোন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছে, কীভাবে তা ব্যবহার করছে এবং কাদের কাছে বিক্রি করছে। এভাবে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যবহারকে স্বচ্ছ ও নিয়ন্ত্রিত করতে হবে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, যারা বেআইনিভাবে ডাটা মাইনিং চালিয়ে যাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যার মধ্যে আর্থিক জরিমানা, ফৌজদারি দায় ও কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা আরোপ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, মর্যাদা ও গোপনীয়তা সুরক্ষিত করা সম্ভব হবে।

নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উপরোক্ত দাবিসমূহ ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে কার্যকর না হলে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে জনস্বার্থে রিট আবেদন দায়ের করা হবে।


বিজ্ঞাপন


এআইএম/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর