ভুক্তভোগী, সাক্ষী ও সংশ্লিষ্টদের হুমকি দিয়ে বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করতেই দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা নানা বক্তব্য দিচ্ছেন বলে আদালত অবমাননার রায়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনাকে দেওয়া আদালত অবমাননার ছয় মাসের সাজার পূর্ণাঙ্গ রায় শনিবার (৯ আগস্ট) পুলিশপ্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর সেখান থেকে একের পর এক অডিও বক্তব্য দিচ্ছেন। ভাইরাল হওয়া একটি অডিওতে ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ বলতে শোনা যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে।
এই অডিও যে শেখ হাসিনার তা সিআইডির ফরেনসিক প্রমাণিত হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার মামলা করে প্রসিকিউশন। গত ২ জুলাই এ মামলায় শেখ হাসিনার ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী, সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তাদের হুমকি দিতেই শেখ হাসিনার এ হুমকি দেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম বলেন, ‘তার অ্যাক্টিভিস্টরা এখনো এই দেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে যেকোনো মানুষ এই জিনিসটাতে ভয় পাবে। যখনই একজন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্যগ্রহণে ভয় পাবে, এটি ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার শামিল বলে ট্রাইব্যুনাল মনে করছে। আবার যারা এই মামলার সাক্ষী, ভিকটিম তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও ওনার কথোপকথনে দেখা যায়। সব মিলিয়ে ট্রাইব্যুনাল মনে করছেন যে, এই কার্যক্রম দ্বারা ট্রাইব্যুনালের বিচারব্যবস্থাকে তিনি বাধাগ্রস্ত করেছেন।’
বিজ্ঞাপন
এ রায়ের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে আইজিপিকে। প্রসিকিউশন বলছে, শেখ হাসিনা ‘হেইট স্পিচ’ ছড়াতে থাকলে আবার আদালত অবমাননার মামলার মুখোমুখি হতে হবে তাকে।
গাজী এম এইচ তামীম আরও বলেন, আইনে কাউকে তো আর কথা বলতে বাধা দেওয়া যায় না। আইনে যেটা করা যায় সেটা হলো, এই টেরিটরির মধ্যে যাতে তার এই ধরনের হেইট স্পিচ প্রচার না করে, সেই আদেশ ট্রাইব্যুনাল দিয়েছেন। যদি উনি আবার হেইট স্পিচ ছড়ান তাহলে আমরা আবার আদালতের শরণাপন্ন হব।
এআইএম/জেবি

