১৯৫ কোটি টাকা পাচারের মামলায় যুবলীগ নেতা জিকে শামীমকে দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। মামলাটি থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
তবে শুধু জিকে শামীম নন, একই মামলায় চার বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন তার সাত দেহরক্ষীও। তারা হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে শরীফ, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারের মামলায় এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই জিকে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
এছাড়া তার সাত দেহরক্ষীকে চার বছর করে কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি তাদের সম্মিলিতভাবে তিন কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে আদালত শামীমের জব্দ করা সব ব্যাংক হিসাব ও অস্থাবর সম্পত্তি অবমুক্ত করার আদেশ দেন। এরপর আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস, আইনজীবী পারভেজ হোসেন, মো. জাহিদ হোসেন দোলন, মো. জোবায়ের হোসেন সজিব ও মো. জিয়াউর রশিদ টিপু।
পরে আইনজীবী পারভেজ হোসেন জানান, সব আসামির আপিল মঞ্জুর করে খালাস দিয়েছেন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অভিযানের সময় জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়।
এএইচ

