গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক এক এমপির বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার গণতান্ত্রিক ছাত্র-সংসদের বহিষ্কৃত নেতা জানে আলম অপুকে অঝোরে কাঁদতে দেখা গেল আদালতে। শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
এ সময় চাঁদাবাজির মামলায় অপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালত।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক অপু গ্রেফতার
এদিন বিকেল ৩টার দিকে একটি সাদা প্রাইভেটকারে করে অপুকে সংশ্লিষ্ট আদালতে এনে হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর বিকেল ৩টা ২৮ মিনিটের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিফটে তোলা হয়।
লিফটে তোলার সময় অফু মুখ লুকিয়ে ছিলেন। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তার মুখের সামনে থেকে হেলমেটের কাচ সরিয়ে দেন। পুলিশ সদস্যদের বলতে শোনা যায়, ‘সোনার মুখটা দেখান সবাইকে।’
তখন সাংবাদিকরা অপুকে প্রশ্ন করেন,‘চাঁদাবাজি করেছেন কি না?’ এসময় তিনি কোনো উত্তর না দিলেও তাকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়। পেছনে পিছমোড়া করে বেঁধে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে সাবেক এমপি’র বাসায় চাঁদাবাজি, আটক ৫
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান অপুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অপুর পক্ষে তার আইনজীবী মো. শাহ আলম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মামলার এজাহারে কী আছে?
গত শনিবার সন্ধ্যার পর গুলশান ২ নম্বরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত পাঁচজন।
তাদেরই একজন অপু। ঘটনার দিন তিনি পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যান। পরে শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর গোপীবাগ থেকে অপুকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি চারজন কারাগারে রয়েছেন।
এএইচ

