রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

অত্যাবশ্যক সেবা: কাজে না ফিরলে কী শাস্তি?

আমিনুল ইসলাম মল্লিক
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৫, ০৮:৫৮ এএম

শেয়ার করুন:

অত্যাবশ্যক সেবা: কাজে না ফিরলে কী শাস্তি?

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইসঙ্গে সংস্থাটির আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেছে, কাজে যোগ না দিলে দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হবে। রোববার (২৯ জুন) সরকার এক বিবৃতিতে এমনটা জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, অতি জরুরি আমদানি-রফতানি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের কার্যক্রম চলমান রাখার জাতীয় স্বার্থে সরকার এনবিআরের আওতাধীন সব কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নীতি বাস্তবায়ন করতে গেলে কর্মকর্তাদের কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। হতে পারে জেল জরিমানাও।


বিজ্ঞাপন


অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইনে কী আছে

অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন ২০২৩ নামের এ আইন অনুযায়ী, বর্তমানে ১৮ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা রয়েছে। যেমন— ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, ই-কমার্স ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল সেবা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ, সরবরাহ ও বিক্রয় এবং এ–সংক্রান্ত স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণ কাজ, স্থল, রেল, জল বা আকাশপথে যাত্রী বা পণ্য পরিবহন, স্থলবন্দর, নদীবন্দর, সমুদ্রবন্দর বা বিমানবন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস, স্থানান্তরসহ সংশ্লিষ্ট বন্দর বা বন্দরসম্পর্কিত পরিষেবা, হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠান এবং ডিসপেনসারি–সম্পর্কিত কোনো পরিষেবা, ওষুধ উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়সহ এ–সংক্রান্ত অন্যান্য কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা কারখানার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনো পরিষেবা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসম্পর্কিত পরিষেবা ইত্যাদি।

এই ১৮ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে এখন সব কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকেও অত্যাবশ্যক পরিষেবা করার সিদ্ধান্ত জানাল সরকার।


বিজ্ঞাপন


জানতে চাইলে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মনজিল মোরসেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, সরকার চাইলে আন্দোলনরত এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। চাকরি বদলি, সাজা-শাস্তি বা আর্থিক জরিমানাও।

আইন অনুযায়ী, সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে কোনো চাকরি বা কোনো শ্রেণির চাকরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো পরিষেবাকে অত্যাবশ্যক পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে। কখন সেটি করতে পারবে, তাও বলা আছে এ আইনে। যেমন— কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে জনকল্যাণমূলক সেবা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এমন পরিষেবাকে অত্যাবশ্যক পরিষেবা ঘোষণা করা যাবে। এছাড়া জননিরাপত্তা বা জনগণের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে; জনগণের জন্য অসহনীয় কষ্টের কারণ হচ্ছে।

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে গেলে কী ধরনের শাস্তি দেওয়া যায়, তাও বলা আছে আইনে। চাকরিরত কোনো ব্যক্তি ধর্মঘট শুরু করতে বা চলমান রাখতে পারবেন না। কোনো প্রতিষ্ঠানে লকআউট বা লে-অফ ঘোষণা করা যাবে না। এ আদেশ অমান্য করলে অথবা অমান্য করার জন্য কোনো ব্যক্তিকে প্ররোচিত করলে অথবা কাজ করতে বা কাজ চলমান রাখতে অস্বীকার করলে অথবা যৌক্তিক কারণ ছাড়া কাজে অনুপস্থিত থাকলে বা চাকরি থেকে পরিত্যাগ করলে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

অপরাধ অনুযায়ী, ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান আছে আইনে। অপরাধের ধরন অনুযায়ী অর্থদণ্ডেরও বিধান আছে। এছাড়া বিভাগীয় ব্যবস্থারও সুযোগ আছে আইনে।

এই আইনের ধারা ২(ক)তে ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা’ সম্পর্কে বলা আছে। এতে বলা হয়েছে—
(১) যেকোনো প্রকার ডাক, ইন্টারনেট, টেলিফোন বা টেলিগ্রাফ পরিষেবাসহ এই সকল পরিষেবার সহিত সম্পর্কিত যেকোনো প্রকার পরিষেবা;
(২) বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সরবরাহ কাজের সহিত সম্পর্কিত যেকোনো প্রকার পরিষেবা;
(৩) রেলওয়ে পরিষেবা অথবা স্থল, জল বা আকাশপথে যাত্রী বা পণ্য পরিবহন পরিষেবাসমূহ যেসকল বিষয়ে সংসদের আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা রহিয়াছে;
(৪) বিমানবন্দর ও বিমানঘাঁটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত পরিষেবাসমূহ, অথবা বিমান পরিচালনা, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ, অথবা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭ (২০১৭ সালের ৩ নং আইন) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের যেকোনো পরিষেবা;
(৫) স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর বা বিমানবন্দরে পণ্য বোঝাই করা, খালাস করা (লোডিং-আনলোডিং), স্থানান্তরিত করা বা মজুদ করাসহ এই সকল বন্দরের বা বন্দর সম্পর্কিত যেকোনো প্রকার পরিষেবা;
(৬) কাস্টমসের মাধ্যমে কোনো পণ্য বা যাত্রীর ছাড়পত্র প্রদান সম্পর্কিত, অথবা চোরাচালান প্রতিরোধ সম্পর্কিত যেকোনো প্রকার পরিষেবা;
(৭) বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর কোনো প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কোনো পরিষেবা অথবা প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে স্থাপিত কোনো প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পর্কিত কোনো পরিষেবা;
পরিষেবা না দিলে সাজা-শাস্তির বিষয়ে বলা আছে এই আইনের ১০ ধারায়
বে-আইনি ধর্মঘটের দণ্ড: (১) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন বে-আইনি কোনো ধর্মঘট শুরু করিলে, বা চালাইয়া গেলে বা অন্য কোনো প্রকারে এইরূপ কোনো ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করিলে, তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
(২) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন বে-আইনি কোনো ধর্মঘটে অংশ গ্রহণের জন্য, অথবা অন্য কোনোভাবে উহাকে অগ্রসরণের জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে প্ররোচিত বা উৎসাহিত করিলে, তিনি এক বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
(৩) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন বে-আইনি কোনো ধর্মঘট অগ্রসরণের জন্য অথবা তাহা সমর্থন করিবার জন্য জ্ঞাতসারে উহার জন্য অর্থ খরচ বা সরবরাহ করিলে, তিনি এক বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড, অথবা পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
১১ ধারায় বে-আইনি লক-আউটের দণ্ডের কথা বলা আছে: (১) কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক এই আইনের অধীন বে-আইনি কোনো লক-আউট শুরু করিলে বা চালাইয়া গেলে বা অন্য কোনোভাবে উহাকে অগ্রসরণের জন্য কাজ করিলে, তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
১২। বে-আইনি লে-অফের দণ্ড: (১) কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক কোনো শ্রমিককে এই আইনের অধীন বে-আইনিভাবে লে-অফ করিলে বা লে-অফ অব্যাহত রাখিলে, তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
১৩। কার্যক্রম: (১) এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত, কোনো আদালত এই আইনের অধীন কৃত কোনো অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবেন না।
(২) ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ আমলযোগ্য হইবে।
(৩) ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন-
(ক) প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত অন্য কোনো ম্যাজিস্ট্রেট এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচার করিবেন না; এবং (খ) এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারকালে ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার কার্য করিতে পারিবে।
১৪। অপরাধে সহায়তা বা প্ররোচনা: কোনো ব্যক্তি এই আইন প্রযোজ্য হয় এমন কোনো চাকরি বা এমন শ্রেণির কোনো চাকরিতে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ করিতে উৎসাহিত বা প্ররোচিত করিলে, অথবা এইরূপ কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর জন্য জ্ঞাতসারে উহার জন্য অর্থ খরচ বা সরবরাহ করিলে, বা অন্য কোনোভাবে উৎসাহিত করিলে, তিনি একই অপরাধ করিয়াছেন মর্মে বিবেচিত হইবেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথাকথিত আন্দোলন পরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক, যা জাতীয় স্বার্থ এবং নাগরিক অধিকারের চরম পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার (২৯ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাজেট ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নমুখী কার্যক্রম পরিচালনার সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো দুর্বল রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা। রাষ্ট্রের প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের রাজস্ব সংগ্রহ অনেক কম। এর মূল কারণ হলো আমাদের রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনার নানা দুর্বলতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি। এ প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার সব অংশীজনের পরামর্শ অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, রাজস্ব সংস্কারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ নজিরবিহীনভাবে গত ২ মাস ধরে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি এবং রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অন্যায় ও অনৈতিকভাবে ব্যাহত করে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে আন্দোলনের নামে চরম দুর্ভোগ তৈরি করেছে, যা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।

অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, সংস্কারের বিরোধিতা ছাড়াও অর্থ বছরের শেষ ২ মাসে তারা রাজস্ব আদায় কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই তথাকথিত আন্দোলন পরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক, যা জাতীয় স্বার্থ এবং নাগরিক অধিকারের চরম পরিপন্থী। সরকারের পক্ষ থেকে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি বিবেচনায় নেওয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয় এবং আলোচনায় আসার আহ্বান জানালেও তারা তা অগ্রাহ্য করে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান না করে তারা আন্দোলনের নামে অনমনীয় অবস্থান নিয়ে ক্রমাগত দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করে চলেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পরিস্থিতিতে অতি জরুরি আমদানি-রফতানি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের কার্যক্রম চলমান রাখার জাতীয় স্বার্থে সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন সকল কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনসমূহের সকল শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আশা করি, অনতিবিলম্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে ফিরে যাবেন এবং আইনবিরোধী ও জাতীয় স্বার্থ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসবেন। অন্যথায় দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায়  সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে।

এআইএম/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর