বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র হৃদয় নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় কোনাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৭ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনানল।
অন্য চার আসামি হলেন- গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল আকরাম হোসেন, ফাহিম হাসান ও মাহমুদুল হাসান সজীব।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৫ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিনি সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, প্রসিকিউটর এস এম মঈনুল করিম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন সোহেল।
রোববার ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ছিল। এদিন সকালে পাঁচ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
তবে এদিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করে প্রসিকিউশনের পক্ষে আরও দুই মাস সময়ের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আগামী ১৭ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ৫ মার্চ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ৫ অগাস্ট সরকার পতনের দিন কোনাবাড়ি এলাকায় গুলিতে নিহত হন টাঙ্গাইলের হেমনগর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র হৃদয় মিয়া (২০)। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কোনাবাড়ী এলাকায় থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
এই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তার ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনোবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এআইএম/এএইচ

