জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায় ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইনজীবী মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেছেন, ২০১৩ সালে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেটি আর কার্যকর থাকছে না। আপিল বিভাগ সেই রায় বাতিল করেছেন।
রোববার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। ফলে জামায়াতে ইসলামীর আর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পেতে কোনো বাধা থাকল না। দলটি এখন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
বিজ্ঞাপন
তবে প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে আদালত কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়নি। ফলে এই বিষয়টি এখনও অনির্ধারিত থাকছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
দলটির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন এবং ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। পরে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগেই দলটির নিবন্ধন বাতিল করে দেন। তবে জামায়াতের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই দাবি করা হচ্ছিল, ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সাময়িক নিবন্ধন ছিল আইন অনুযায়ী এবং বৈধ।
গত বছর ১ আগস্ট জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার, ছাত্র-জনতার কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে দলটির সম্পৃক্ততা দেখিয়ে। তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর জামায়াত আবার রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়, যদিও তখনও তাদের কোনো নিবন্ধন ছিল না।
বিজ্ঞাপন
জামায়াতের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, শুধু নিবন্ধন নয়, প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ও ফিরিয়ে দিতে হবে। আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, প্রতীক বাতিলের প্রক্রিয়াটিও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল এবং সেটি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হয়নি। এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এআইএম/এইউ