রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হত্যাচেষ্টা মামলায় সস্ত্রীক কারাগারে আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

M
মিল্টন সমাদ্দার ও তার স্ত্রী। ছবি- সংগৃহীত

বহুল আলোচিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার ও তার স্ত্রী মিঠু হালদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণের পর তাদের বিরুদ্ধে এই আদেশ দেওয়া হয়। 

শনিবার (১৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে মিল্টন সমাদ্দার ও তার স্ত্রীকে কারাগারে পাঠান। 


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: মিল্টন সমাদ্দারের বিচার চান স্ত্রীও

এ বিষয়ে তার আইনজীবী ওহিদুজ্জামান বিপ্পব বলেন, গত ৬ মে আদালত এ মামলায় অভিযোগ পত্র আমলে নেয়। তার আগের দিন (৫ মে) মিল্টন সমাদ্দারের মা মারা যান। সে কারণে তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।’

 আইনজীবী জানান, ‘আমরা সময় চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে মিল্টন সমাদ্দার ও তার স্ত্রী মিঠু হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠান।’ 

আরও পড়ুন: মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে ভয়াবহ তথ্য!


বিজ্ঞাপন


এর আগে গত বছরের ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের একটি দল। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। 

গ্রেফতারের পরদিন (২ মে) প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

এরপর ৫ মে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ মিল্টনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে মানবপাচার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন: মিল্টন এলাকাবাসীর কাছে আতঙ্কের নাম

পরে রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত মিল্টনকে চার দিনের রিমান্ড দেন। সেই রিমান্ড শেষে ৯ মে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় মারধরের আরেক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এরপর অবশ্য জামিনে কারামুক্ত হন মিল্টন। পরে তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযোগপত্র দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আতাউর রহমান। সেই মামলায় মিল্টনের স্ত্রীকেও অভিযুক্ত করা হয়। অবশেষে দুজনেরই ঠিকানা হলো কারাগার।

এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর