আদালতে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও আইনজীবীরা, দেখে নেওয়ার হুমকি

এদিন মমতাজের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এরপর মমতাজকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। পরে আইনজীবীরা ব্রিফ করতে সিএমএম আদালতের সামনে রাখা ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যে ধস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। 

এসময় বেসরকারি টেলিভিশন ‘এখন টিভির রাব্বি হোসেন, সময় টেলিভিশনের আসিফ মাহমুদ সিয়াম আইনজীবীদের শান্ত হয়ে ধস্তাধ্বস্তি না করে সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। 

এরপরই সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন ওই দুই আইনজীবী। উপস্থিত সাংবাদিকরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আইনজীবীরা আরও চড়াও হন। কে কোথায় কাজ করেন তা দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। অকথ্য ভাষায় সাংবাদিকদের গালিগালাজ করেন। কয়েকজন সাংবাদিককে হেনস্তা এবং গালিগালাজ করেন।

আরও পড়ুন: মমতাজের রিমান্ড শুনানি ঘিরে আদালতে হট্টগোল, হাস্যরস

এসময় বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে কয়েকজন আইনজীবী তাদের পক্ষও নেন। এ অবস্থায় ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী অভিযুক্ত দুই আইনজীবীকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক রাব্বি হোসেন বলেন, ‘এজলাসে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত হলে আইনজীবীরা আমাদের বলেন, এখানে সাংবাদিকদের কী কাজ। আমি বলেছি, নিউজের জন্য এসেছি। পরে শুনানি শেষ হলে আমরা বিনয়ের সঙ্গে আইনজীবীদের ডায়াসের সামনে দাঁড়াতে বলি। তারপরই আমিসহ একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান আইনজীবীরা। এক পর্যায়ে আমাদের ধাক্কা দিতে থাকেন। ১৭ বছর কই ছিলাম, বিএনপিপন্থী আইনজীবী পরিচয় দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।’

আরেক সাংবাদিক সিয়াম বলেন, ‘মাহবুব আলী, আক্তার হোসেন বারবার সাংবাদিকদের বলছিলেন, আদালত আমাদের, এখানে আমরা যা বলব তাই হবে। এতে সাংবাদিকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বাড়ে। পরে তিনি আমাকে দালাল সাংবাদিক, ধান্দাবাজ বলে গালি দেন। তিনিসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী গায়ে হাত তোলার জন্য তেড়ে আসেন।’

এ ঘটনায় কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি লিটন মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক মামুন খান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এআইএম/এএইচ