ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে এস এম ফাইজুল হক ঈশানকে আগামী এক মাসের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার আদালত এ রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতের রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি রায়ের বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তিনজন প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে এস এম ফাইজুল হক ঈশান ওই পদের জন্য আবেদন করেন। ২০১৮ সালের ১৩ আগষ্ট নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ড সভায় তিনিসহ মোট তিনজন নির্বাচিত হন এবং তাদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে সিন্ডিকেট বোর্ড দুইজনের নিয়োগের সুপারিশ করলেও ফাইজুলকে নিয়োগ প্রদান না করলে তিনি সুপ্রিম কোর্টর হাইকোট বিভাগে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। সুপ্রিম কোর্ট রুল জারি করে স্থিতি অবস্থার আদেশ প্রদান করেন।
ওই রুলের শুনানি শেষে আজ ৮ মে আদালত তার আদেশে বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে এস এম ফাইজুল হক ঈশানকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করেন।
শুনানিতে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, নির্বাচনে নিয়োগ বোর্ড যখন কোনো ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ প্রদান করেন তখন সিন্ডিকেটের কোনো কারণ ছাড়া নিয়োগ প্রদান না করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু সিন্ডিকেট ফাইজুলকে কোনো রকম কারণ উল্লেখ না করেই নিয়োগ প্রদান হতে বিরত থেকেছেন। যার কারণে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সিন্ডিকেট আইন অনুসরণ না করেই এস এম ফাইজুল হক ঈশানকে বিগত সাত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা হতে বঞ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন যে, বিগত সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন, বিধিবিধান ও মেধা বিবেচনা না করে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। যার ফলে অনেক মেধাবীরাও বঞ্চিত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডার এবং স্ট্যাউট অনুযায়ী নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশকে বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে সিন্ডিকেটকে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম ঘটিয়ে ফাইজুলকে নিয়গ হতে বঞ্চিত করা হয়েছে৷
রিট আবেদনকারী হলেন এস এম ফাইজুল হক ঈশান অপরদিকে বিবাদীরা হলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেল ও ঢাকা ভার্সিটি প্রশাসনসহ মোট ২২ জন।
এআইএম