বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ থমকে যেতে পারে—রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন না থাকায় এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। বুধবার (৭ মে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এক শুনানিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে জামায়াতের নিবন্ধন ইস্যুতে করা আপিল শুনানি হয়। মামলাটি ছিল আজকের কার্যতালিকায়। শিশির মনির জামায়াতের নিবন্ধন মামলাটি দ্রুত শুনানির আবেদন জানান। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ১৩ মে (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছেন।
বিজ্ঞাপন
জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে ফের স্বীকৃতি চেয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আইনি লড়াই চালিয়ে আসছে। ২০১৩ সালে হাইকোর্ট এক রায়ে দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালে তাদের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে জামায়াত সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। যদিও ২০২৩ সালের নভেম্বরে তাদের প্রধান আইনজীবী শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় আপিল বিভাগ "ডিসমিস ফর ডিফল্ট" বলে আপিল খারিজ করে দেন।
পরবর্তীতে সেই খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করে জামায়াত। সর্বোচ্চ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করায় দলটি আবার আইনি লড়াইয়ের সুযোগ পায়। বর্তমানে এ মামলার শুনানি চলছে।
এই প্রসঙ্গে আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ. সিদ্দিকী এবং অ্যাডভোকেট শিশির মনির। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।
জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চে শুরু হওয়া শুনানির পর দীর্ঘদিন এটি বন্ধ ছিল। অবশেষে আবার শুনানি শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ২০২৩ সালের আগস্টে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জামায়াত ও তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে একই বছরের ২৮ আগস্ট এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এই ঘটনাপ্রবাহে নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক দেখা দেয় রাজনৈতিক অঙ্গনে।
এআইএম/এইউ
