রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা এক নারীর ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা গ্রহণ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার পারভীন। আগামী ২০ জুলাইয়ের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিদ্ধেশ্বরীর গ্রিনল্যান্ড টাওয়ারের সামনে এক নারী রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। চলন্ত একটি সাদা প্রাইভেট কার থেকে এক ছিনতাইকারী হঠাৎ জানালা দিয়ে তার ভ্যানিটি ব্যাগ টান দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ওই নারী রাস্তায় পড়ে যান এবং ছিনতাইকারীরা তাকে গাড়ির সঙ্গে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কিভাবে দিনদুপুরে এমন একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটে এবং আশপাশের লোকজন পরে তাকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে।
ঘটনাটি জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি। তবে আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা ও পুলিশ রেগুলেশন বুক, ১৯৪৩-এর বিধি ২৪৩/২৪৪ অনুযায়ী, এমন আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে থানা কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক মামলা করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু পুলিশের নির্লিপ্ততা ও ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে আদালত নিজ উদ্যোগে মামলা গ্রহণ করেন।
আদেশে বলা হয়েছে, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে প্রতীয়মান হয় যে দণ্ডবিধির ৩৯২ (ডাকাতি), ৩৭৯ (চুরি), ৩২৬ (গুরুতর আঘাত প্রদান), এবং ৩৪ (একাধিক ব্যক্তির সমবেত অপরাধ) ধারার আওতায় একটি গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তাই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিষয়টি তদন্ত করা অপরিহার্য। এ প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপারকে আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ভুক্তভোগী নারীর জবানবন্দি গ্রহণ এবং ভিডিওসহ প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে ১৭৩ ধারার অধীনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।
এআইএম/এএস