সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ঢাকা

ড্রোন উড়িয়ে ছাত্র-জনতাকে নজরদারি, সাবেক এডিসি ইশতিয়াক কারাগারে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

ড্রোন উড়িয়ে ছাত্র-জনতাকে নজরদারি, সাবেক এডিসি ইশতিয়াক কারাগারে

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ড্রোন উড়িয়ে ছাত্র-জনতার অবস্থান নির্ণয় করে তার তথ্য র‍্যাব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের প্রদান করে তাদের হত্যা ও নির্যাতন চালাতে সহায়তা করার অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাবেক এডিসি, সিটিটিসি ও সাইবার ফরেনসিক এর প্রধান) আসামি ইশতিয়াক আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


বিজ্ঞাপন


তিনি জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ড্রোন উড়িয়ে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয় করে র‍্যাব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের কাছে তথ্য সরবরাহের অভিযোগে সিটিটিসির সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইশতিয়াক আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর জুলাইয়ে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি করার অভিযোগে সাবেক এডিসি ইশতিয়াক আহমদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে রোববার (২৭ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত দল ও পুলিশ রোববার তাকে রাঙামাটি থেকে গ্রেফতার করে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ইশতিয়াক আহমেদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। তাকে রাঙামাটি থেকে গ্রেফতার করে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইশতিয়াক স্বীকার করেছেন যে, তৎকালীন সিটিটিসি প্রধানের নির্দেশে তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে সেই ভিডিও মুছে ফেলার নির্দেশ এলে তিনি তা পালন করেন। এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক এডিসি ইশতিয়াক আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশের মহাপরিদর্শক তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

এআইএম/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর