রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (২৭ এপ্রিল) এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী জিনাত হক এবং বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকী নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এতে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠান রিটকারী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। চিঠিতে বলা হয়, গত নয় বছরে ঢাকার বায়ু মান সবচেয়ে খারাপ ছিল ১৪ ডিসেম্বর, যেখানে বায়ু মান সূচক ছিল ২৮৮, যা খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়। বায়ু মান সূচক অনুযায়ী, ০-৫০ হলে বাতাস বিশুদ্ধ, ৫১-১০০ সহনীয়, ১০১-১৫০ সতর্কতামূলক, ১৫১-২০০ অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ খুব অস্বাস্থ্যকর, এবং ৩০১ বা তার বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণ সাইটের ধুলো। এছাড়া, ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বায়ু মান সূচক ছিল ২৫০, ফলে সারা বিশ্বের ১২৪টি দূষিত নগরীর মধ্যে ঢাকা প্রথম স্থান অধিকার করে।
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার বায়ু দূষণ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি এই সমস্যা দূর করতে পরিবেশবান্ধব কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে শিগগিরই ঢাকা পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হতে পারে—এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায়, আইনজীবী মনির উদ্দিন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই রুল জারি করে।
বিজ্ঞাপন
এআইএম/এইউ
