শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ফার্মার্স ব্যাংকের বাবুল চিশতিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২২, ০৪:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

ফার্মার্স ব্যাংকের বাবুল চিশতিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বন্ধকী সম্পত্তির অতি মূল্যায়ন দেখিয়ে নিজ পদের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ৬৯ কোটি টাকা আত্মাতের অভিযোগে দি ফার্মার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতিস ওরফে বাবুল চিশতিসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

দুদকের কমিশন সভায় অভিযোগপত্রটি অনুমোদন হয়েছে বলে মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
 
মাহবুবুল হক চিশতি ছাড়াও চার্জশিটভুক্ত অন্য পাঁচ আসামিরা হলেন, মেসার্স রোজবার্গ অটো রাইস মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হযরত আলী, রোজবার্গের পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন, দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড শেরপুর শাখার শাখা প্রধান ও সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার উত্তম বড়ুয়া, ফার্মার্স ব্যাংক প্রধান শাখার সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম এম শামীম ও সিটি সার্ভে লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. খায়রুল আলম।


বিজ্ঞাপন


দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে ঋণের নামে ব্যাংকিং নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, বন্ধকী সম্পত্তির অতি মূল্যায়ন দেখিয়ে, নিজ পদের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ৫৮ কোটি টাকা যার স্থিতি ৬৯ কোটি ৫ ৮ লাখ উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ ও আত্মাসাতের সহযোগিতা করে পরবর্তীতে বর্ণিত অর্থের অবৈধ প্রকৃতি গোপন করার লক্ষ্যে স্থানান্তর, হস্তান্তরপূর্বক লেয়ারিং করা ও লেয়ারিং কাজে সহযোগিতা করেন।

দন্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের তাদের বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় চার্জশীট দাখিলের দাখিলের অনুমোদন করে কমিশন।

উল্লেখ্য, এজাহারনামীয় আসামি দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আহসান চৌধুরীকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ও রাশেদুল হক চিশতীকে তৎকালীন তদারককারী কর্মকর্তার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন আসামি হিসাবে অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল। তদন্তকালে জব্দকৃত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এই মামলার অপরাধের সাথে তার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকেও অত্র মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

টিএ/ একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর