সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ঢাকা

আমরা হতাশ নই, ব্যথিত: জামায়াত সেক্রেটারি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

আমরা হতাশ নই, ব্যথিত: জামায়াত সেক্রেটারি

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি বারবার পেছানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তবে তিনি হতাশ নন, বরং ব্যথিত—এমনটাই জানান সাংবাদিকদের কাছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) আপিল বিভাগের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা হতাশ নই। তবে আমরা বিস্মিত ও ব্যথিত। আমাদের মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এত বছর পরও তার মুক্তির আদেশ না পাওয়া অত্যন্ত বেদনাদায়ক।’


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা অনেক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছি। আগের সরকারের সময়ে যারা ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছেন, তাদের অনেকে এখন মুক্ত হচ্ছেন। অথচ এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো কারান্তরীণ রয়েছেন। আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তবে আমাদের প্রশ্ন—এতদিনেও কেন ন্যায়বিচার মিলছে না?’

এটিএম আজহারের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আপিল বিভাগের বেঞ্চে আগে পাঁচজন বিচারপতি ছিলেন, বর্তমানে দুইজন নতুন বিচারপতি নিয়োগ পেয়েছেন। তবে সোমবার সব বিচারপতি না বসায় শুনানি পিছিয়ে যায়। আগামী ৬ মে মামলাটির পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে বিচার হলে আমরা বিশ্বাস করি, আজহারুল ইসলাম ফাঁসির দণ্ড থেকে রেহাই পেতেন। যারা দেশে-বিদেশে এ বিষয়ে আবেগ প্রকাশ করছেন, তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আমরা আশাবাদী, আগামী শুনানিতে ইতিবাচক কিছু দেখতে পাব।’

এদিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ২৮ নম্বর ক্রমিকে তালিকাভুক্ত ছিল। শুনানিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেন। অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল গণহত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্যাতন ও লুণ্ঠনের মতো গুরুতর অপরাধ। রংপুর অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আজহারের পক্ষে তার আইনজীবীরা ১১৩টি যুক্তির ভিত্তিতে খালাস চেয়ে ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার একটি আপিল আবেদন দাখিল করেন। সেই আপিলের শুনানিই এখনও শেষ হয়নি।

জামায়াতে ইসলামীর দাবি, আজহারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসন বলেও অভিহিত করে দলটি।

এআইএম/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর