মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

কাঠগড়ায় মেজাজ হারিয়ে চিৎকার করলেন হাজী সেলিম

ঢাকা মেইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

কাঠগড়ায় মেজাজ হারিয়ে চিৎকার করলেন হাজী সেলিম

হত্যা মামলায় গ্রেফতার শুনানিতে গিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজ আইনজীবীর ওপর ক্ষেপলেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম। এসময় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় নিজের আইনজীবীর সঙ্গে উচ্চস্বরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। ঘটনাটি উপস্থিত সবাইকে হতবাক করে দেয়।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ চাঞ্চল্যকর এ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এদিন বিভিন্ন হত্যা মামলায় হাজী সেলিমসহ ১০ জনকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন আদালত।


বিজ্ঞাপন


হাজী সেলিমের আইনজীবী প্রাণ নাথ রায় তাকে ওকালতনামায় স্বাক্ষরের অনুরোধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বিরক্তি প্রকাশ করেন। উপস্থিত একজন আইনজীবী জানান, হাজী সেলিম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন এবং কথা বলার ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। এ কারণেই তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

শুনানির এক পর্যায়ে সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান আইনজীবী প্রাণ নাথ রায়কে জানান, হাজী সেলিম কারাগারে সমস্যায় রয়েছেন। তার কথা কেউ বোঝেন না, খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যায় ভুগছেন। এরপর আইনজীবীর অনুরোধে হাজী সেলিম অবশেষে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেন।

আইনজীবী প্রাণ নাথ রায় জানান, হাজী সেলিম কারাগারে ভালো নেই। খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে, তার ডায়াবেটিস রয়েছে। তিনি এক ধরনের মানসিক কষ্টের মধ্যে রয়েছেন।

এদিন আদালতে একাধিক আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিশিষ্টজনকে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন— আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু, সালমান এফ রহমান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, শমী কায়সার, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাদেক খান, এ কে এম শহিদুল হক ও আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।


বিজ্ঞাপন


আদালতের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শুনানির সময় আদালত কক্ষে একসঙ্গে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন পুরুষ ও নারী আসামিরা। নিরাপত্তার স্বার্থে নারী আসামিদের জন্য নারী পুলিশ কনস্টেবল এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট সরবরাহ করা হয়।

আসামিদের মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া দৃশ্য ছিল আমির হোসেন আমুকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে আনা ও নেওয়ার সময়। বয়সের ভারে ক্লান্ত আমুকে পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় সিঁড়ি দিয়ে উঠানো হয় এবং পরে বিচারকের অনুমতিতে কাঠগড়ায় বসার জন্য একটি চেয়ার দেওয়া হয়।

এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর