মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম

শেয়ার করুন:

বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন

২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে অর্ধশতাধিক সেনা-অফিসার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিন পেলেন ২০০ শতাধিক আসামি।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর অস্থায়ী আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।


বিজ্ঞাপন


আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন মোহাম্মদ পারভেজ হাসান, আমিনুল ইসলাম, ফারুক আহাম্মদ। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর আলহাজ মো. বোরহান উদ্দিনের জামিনের বিরোধিতা করেন।

জানা গেছে, জামিন পাওয়া এই দুই শতাধিক আসামি হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি।

এর আগে, বেলা ১১টার পর আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ পারভেজ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর আলহাজ মো. বোরহান উদ্দিন সাক্ষ্য নেওয়ার প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ মো. ইউসুফ।

আরও পড়ুন

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: সাক্ষ্য দিলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ ইউসুফ

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। যেখানে ১৬০ জনের যাবজ্জীবন, ১৫২ জনের ফাঁসি ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া খালাস পান ২৭৮ জন।

এদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম একপ্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।

আরও পড়ুন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ শুনানি ৯ ফেব্রুয়ারি

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর একটি কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।

ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর