সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ট্রাইব্যুনালে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের অভিযোগ ২৫ জনের বিরুদ্ধে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

ট্রাইব্যুনালে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের অভিযোগ ২৫ জনের বিরুদ্ধে

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তারা এ বিষয়ে লিখিত আকারে অভিযোগ দাখিল করেন।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, আবু সাঈদের পরিবার রংপুরে একটি মামলা করেছে। আমরা আগেও বলেছি, লোকাল কোর্টে যতই মামলা হোক, যেহেতু এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ তাই এ অভিযোগ যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসে, তাহলে সেটা উপযুক্ত আবেদন হবে। আবু সাঈদের পরিবার নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রাইব্যুনালে এসেছে। আজ তারা সেই ঘটনাগুলোর বর্ণনা দিয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

 

তিনি আরও বলেন, তারা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে এখানে এসেছেন। আজকে সেদিনের ঘটনাগুলোর বর্ণনা দিয়ে আমাদের কাছে প্রথমে মৌখিক ও পরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।


বিজ্ঞাপন


চিফ প্রসিকিউটর বলেন, অভিযোগ দিতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান ও তার সঙ্গে ঘটনার সময় যেসব সহযোদ্ধারা ছিলেন তারা এসেছেন। তারা ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।

এর আগে, ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর টিমের পক্ষ থেকে তিনটি শুনানির আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল কোনও তথ্য-উপাত্ত কোর্টে হাজিরের আগে একটা সার্টিফিকেশনের প্রয়োজন হয়। এই সার্টিফাইড অথরিটি হলো সিআইডি। তারা এটা যাচাই-বাছাই করবে। যাচাই-বাছাই ছাড়া এসব তথ্য-উপাত্ত কোর্টে জমা দেওয়া যায় না। এটা আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশের উভয় আইনে রয়েছে। জুলাই আগস্টের গণহত্যার বিষয়ে আমরা ডিজিটাল অনেক তথ‍্য-প্রমাণ পেয়েছি। এখানে কল রেকর্ড, ভিডিওসহ অনেক ডিজিটাল এভিডেন্স আছে। এই ডিজিটাল এভিডেন্সগুলোকে ফরেনসিক চেকের জন্য সিআইডির কাছে পাঠাতে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম।

 

তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারের কোনও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা বা অসহযোগিতার বিষয়ে আমরা কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিচ্ছি না। কারণ এটা চলমান একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে, তথ্য সংগ্রহ চলছে। কোনও সংস্থা যদি তদন্তে সহযোগিতা না করে, সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পদ্ধতি আছে।

উল্লেখ্য, বিগত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদ।

তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ। আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর সারাদেশে আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

এআইএম/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর