কোমরের ব্যথায় ভোগায় কারাগারে সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের হাই কমোড চেয়ে আবেদন করেছেন তার আইনজীবী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী মানিক মিয়া হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানির সময় পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি হাই কমোড চান।
বিজ্ঞাপন
মামলাটিতে পলকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ।
এর আগে সকালে পলককে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক শেখ হাদীউজ্জামান ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আসামির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন।
শুনানিতে পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, পলককে ৪৬ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি ৩১ দিন রিমান্ডে ছিলেন। গত ৯ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি ভিত্তিতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দেখা যায়, তিনি কোমরের ব্যথায় ভুগছেন। এ অবস্থায় তিনি ট্রাভেল করতে পারবেন না। লো কমোড ব্যবহার করতে পারবেন না, হাই কমোড লাগবে।
পলকের আইনজীবী আরও বলেন, বারবার সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনো তথ্য উদঘাটন হচ্ছে না। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তার রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা একটা লিস্ট পেয়েছি। সেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১৫৮১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তো ১৫৮১টি মামলা হওয়া উচিত। আর কোর্টে আসলে অসুস্থতার শেষ নেই। কোর্টে আসার মতো পরিস্থিতি থাকে না। বাইরে থাকলে হত্যাকাণ্ড চালাতে দ্বিধাবোধ করেন না। আরও হত্যা মামলা তার বিরুদ্ধে আসতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট ঢাকার চানখারপুলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শিক্ষার্থী মানিক মিয়া। এ ঘটনায় রাজু আহমেদ নামে একজন বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে শেখ হাসিনাসহ ৭৯ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার দুই নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয় সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলককে।
এমআর
