গুমের অভিযোগে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ফারুকী ও আলেপ উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৫০টিরও বেশি গুমের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) এই দুই আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের সে আবেদন মঞ্জুর করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিজ্ঞাপন
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই দুই আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন বেলা ১১টার দিকে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর আগে গত ২৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের হাজির করার নির্দেশ দেন।
ওইদিন শুনানি শেষে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম বলেন, সাবেক দুজন র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে তিনটি অ্যাপ্লিকেশন করেছিলাম। দুজনই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কর্মকর্তা ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গুম ও গুমের সময় সরাসরি নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
এর ভিত্তিতেই ট্রাইব্যুনালে দুটি আবেদন করা হয়। আবেদন দুটি মঞ্জুর করে সোমবার আদালত তাদের হাজিরের নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
এই আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর শনির আখড়ায় জোবায়ের ওমর খানের মৃত্যুর মামলায় এই দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট দুপুরে যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া এলাকায় জোবায়ের ওমর খান গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ট) নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলা করেন জোবায়েরের ভাই। পরে গত ১৩ নভেম্বর রাতে বরিশাল মহানগর এলাকা থেকে আলেপ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয় এবং একই দিন ভোরে রাঙামাটি জেলার কাউখালী (বেতবুনিয়া) এলাকা থেকে মহিউদ্দিন ফারুকীকে গ্রেফতার করা হয়।
এআইএম/জেবি