আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর কথিত আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরীকে মারধরের ঘটনায় তদন্তের পর দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এই নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার আদালতে আমির হোসেন আমুর রিমান্ড শুনানি চলছিল। শুনানি চলাকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আমির হোসেন আমুর রিমান্ডের পক্ষে বক্তব্য দেন। এ সময় আমুর আইনজীবী দাবি করা স্বপন রায় চৌধুরী পিপির বক্তব্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যের পর উত্তেজিত হয়ে আদালতে উপস্থিত অন্য আইনজীবীরা তাকে মারধর শুরু করেন। এতে স্বপন রায় চৌধুরী আদালতের দরজার সামনে পড়ে যান এবং একপর্যায়ে তাকে লাথি মারা হয়। পরে কয়েকজন আইনজীবী তাকে ধরে আদালত থেকে বের করে দেন।
পিটুনির শিকার হয়ে স্বপন রায় চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এর বিচার চাই, আদালত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, এখানে ন্যায়বিচার নেই।’
তবে পরদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর আইনজীবীকে মারধর করা হয়নি। যারা তার প্রকৃত আইনজীবী, তারা আদালতে এ কথা বলেছেন।
ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, যে আইনজীবী নিজেকে আমির হোসেন আমুর আইনজীবী বলে দাবি করেছেন, তিনি গতকাল মাঝখান থেকে হঠাৎ সামনে চলে আসেন। পরে তিনি (আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী) বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। কিন্তু তাকে দুই পক্ষের কেউই (আমির হোসেনের পক্ষে একাধিক ব্যক্তি আদালতে ওকালতনামা দেন) কিন্তু আইনজীবী হিসেবে ওউন (নিজেদের বলে স্বীকার করা) করেননি। ওদের পক্ষ থেকে টানাটানি শুরু করল। এভাবে একটা টানাহ্যাঁচড়া শুরু হলো। এরপর ধস্তাধস্তি হলো। তিনি চলে যান, সেটা দুই পক্ষ চাইছিল। একপর্যায়ে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর দুই পক্ষ মিলে মামলার শুনানি শুরু করেন। আমির হোসেন আমুর আইনজীবী শাহিনও বক্তব্য রেখেছেন। ঝালকাঠি থেকে যারা এসেছেন, তারাও বক্তব্য দিয়েছেন। তারা দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এআইএম/জেবি