ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করা বিচারপতিদের দুপুর দুইটার মধ্যে অপসারণের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা একটায় হাইকোর্টের মূল ভবনের সামনে এই আল্টিমেটাম দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের অপসারণের দাবির পাশাপাশি ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও আওয়ামী প্যানেলের আইনজীবীদের অপসারণ করতে হবে। না হলে আমরা হাইকোর্ট চত্ত্বর ছাড়ব না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘আমরা গতকাল দেখেছি এই হাইকোর্ট চত্ত্বরে আওয়ামী দোসর, আওয়ামী প্যানেলের আইনজীবীরা আজকের দ্বিতীয় বাংলাদেশে খুনি হাসিনার নামে স্লোগান দিয়েছে। তারা এই সাহস কোথায় পায়। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারকদের অপসারণ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, দায়রা জজ কোর্টের যারা বিচারক রয়েছে এবং যারা আওয়ামী প্যানেলের আইনজীবী রয়েছে তাদের অপসারণ করতে হবে। আমরা ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার বিলোপ করতে চাই।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দ্বিতীয় বাংলাদেশে আপনারা আপনাদের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছেন। এছাড়াও আমরা বলতে চাই, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার পর মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট চত্বরে আসেন শিক্ষার্থীরা। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে দক্ষিণ গেট দিয়ে ঢুকে তারা হাইকোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিজ্ঞাপন
গতকাল মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম ফেসবুক পোস্টে দিয়ে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও আওয়ামী পক্ষপাতিত্বের অভিযুক্ত বিচারতিদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার বিক্ষোভ মিছিল করছে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে অবস্থান নিয়ে বিচারপতির বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
এ সময় আইনজীবীরা বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এখনও সক্রিয় আছেন। একইসঙ্গে দুর্নীতি ও পক্ষপাতিত্ব রায় দিয়েছেন একের পর এক। অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
গত ১০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সুপ্রিমকোর্ট ঘেরাও করে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা পদত্যাগ করেন। সে সময় দেওয়া পদত্যাগপত্রে সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান লিখেছিলেন, কোর্টের বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা রক্ষা এবং বিচারপতিদের শারীরিক হেনস্তা এড়াতেই পদত্যাগ করেছেন তিনি।
এমআইকে/এমআর

