ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওমর ফারুকের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে। তার বাবার নাম আমিনউল্লাহ।
বিজ্ঞাপন
১৯৯৬ সালে আইনজীবী সনদ নেওয়া ওমর ফারুক ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৫-২০১৬ সেশনের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। তার সঙ্গে সভাপতি ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
সোমবার ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত, সিএমএম আদালত এবং বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালে মোট ৬৬৯ আইনজীবীকে পিপি, জিপি, এপিপি ও এজিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগের উপ-সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইনের সই করা প্রজ্ঞাপনে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. রেজাউল করিম জানান, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সারাদেশে পিপি, জিপিসহ অন্যান্য সরকারি কৌঁসুলিদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ঢাকার বিচারিক আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অনুপস্থিত থাকায় বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার ৬৬৯ জন আইনজীবীকে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োগ দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আইন মন্ত্রণালয় সোমবার এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। মহনগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী, এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (দেওয়ানি) সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আইনজীবী আবুল খায়েরকে। সরকার পতনের পর এটাই এক দিনে সবচেয়ে বেশি নিয়োগের ঘটনা।
ঢাকা জেলার জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদন সাপেক্ষে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯২ ধারা এবং ১৯৬০ সালের এল আর (লিগ্যাল রিমেমব্রানসার্স) ম্যানুয়ালের ২নং অধ্যায়ের ১নং অনুচ্ছেদের ৯ ও ৬ অনুচ্ছেদের ১৭ বিধিতে দেওয়া ক্ষমতাবলে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে।
এআইএম/এমআর

