বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

সাবেক আইনমন্ত্রীসহ ৪ বিচারকের নামে দুদকে অভিযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

সাবেক আইনমন্ত্রীসহ ৪ বিচারকের নামে দুদকে অভিযোগ
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

আদালতে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সিরাজগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের চারজন বিচারকের নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দাখিল করেছেন একজন আইনজীবী।

আনিসুল হক বাদে অন্যরা হলেন সিরাজগঞ্জের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ (বর্তমানে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ) ফজলে-খোদা নাজির, তৎকালীন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোছা. সালমা খাতুন, সিরাজগঞ্জের তৎকালীন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তানভীর আহম্মেদ ও তৎকালীন সিনিয়র সহকারী জজ নিজাম উদ্দিন ফরাজী। 


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর এ অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বাদী উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জ জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। নিয়োগ পাওয়া ৩৪ জন কর্মচারীর মধ্যে ২২ জনই ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার। 

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সিরাজগঞ্জের তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির, নিয়োগ কমিটির সভাপতি তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. সালমা খাতুন, নিয়োগ বাছাই ও পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য তৎকালীন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তানভীর আহম্মেদ ও সিরাজগঞ্জ সদরের সিনিয়র সহকারী জজ নিজাম উদ্দিন ফরাজীর যোগসাজশে ওই নিয়োগে ব্যাপক আর্থিক লেনদেন করা হয়। কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, নিয়োগের দায়িত্বে থাকা বিচারকরা পছন্দের ব্যক্তিদের নিজেদের খাস কামরায় বসিয়ে গোপনে পরীক্ষা নেন। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। তাই ওই নিয়োগ বাতিল করে সাবেক আইনমন্ত্রীসহ চার বিচারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। 


বিজ্ঞাপন


অভিযোগকারী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, আমি নিজে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ চার বিচারকের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। 

এ বিষয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করা হলে তার কপি এখনো আমাদের কাছে আসেনি। অভিযোগের কপিটা হাতে পেলে আমরা তদন্ত শুরু করব।

এআইএম/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর