শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

৪৮ হাজার শিক্ষকের টাইমস্কেল নিয়ে আপিল শুনানি দুপুরে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২, ০৭:১৪ এএম

শেয়ার করুন:

৪৮ হাজার শিক্ষকের টাইমস্কেল নিয়ে আপিল শুনানি দুপুরে

২০১৩-২০১৪ সালে সরকারি হওয়া (অধিগ্রহণকৃত) সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ শিক্ষকের টাইমস্কেলের টাকা ফেরতের নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি দুপুরে।

সোমবার (২৩মে) বিষয়টি ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, মামলাটি শুনানির জন্য আজকের ৫৫ নম্বর তালিকায় রাখা হয়েছে। আশা করছি দুপুরে শুনানি হবে।


বিজ্ঞাপন


এর আগে গত ১১ এপ্রিল চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালতে এ বিষয়ে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি হয়। গতকাল রোববার মামলাটি শুনানির জন্য তালিকার পেছনে থাকায় শুনানি হয়নি।

এর আগে আইনজীবী মোকছেদুল বলেছিলেন, হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আমরা লিভ টু আপিল করেছিলাম। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২২ মে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ওইদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ মামলার শুনানি করবেন।

২০২১ সালের ১ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শিক্ষকদের করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। ফলে ২০১৩-২০১৪ সালে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেলের সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র টিকে যায়।

২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেলের সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র নিয়ে রুল করেন হাইকোর্ট। সে রুলের শুনানি শেষ হয় গত ২৮ মার্চ।


বিজ্ঞাপন


ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রিট করেন। তখন হাইকোর্ট বিভাগ পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। একপর্যায়ে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।

পরে স্থগিতাদেশ তুলে দিতে শিক্ষকরা আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরপর চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ মার্চ আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এআইএম/এমআর

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর