ঢাকার রাজনীতিতে প্রভাব প্রতিপত্তির কোনো কমতি নেই। অর্থনৈতিকভাবেও বেশ শক্ত অবস্থান সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের। একাধিকবারের এই সংসদ সদস্য শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হলেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন আগাগোড়া। তবে সব কিছু ছাপিয়ে তার অবস্থান কারাগারে। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে রোববার (২২ মে) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এমন আদেশ পাওয়ার পর অনেকটা ভেঙে পড়েন তার সঙ্গে আসা দুই সন্তান ও কর্মী সমর্থকরা।
গণমাধ্যমকর্মীরা যখন সেলিমপুত্র হাজী সোলায়মানের কাছে সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চান তখন কথা বলতে গিয়ে বারবার গলা ধরে আসছিল তার। তবে তার বিশ্বাস সত্যের জয় হবে। তার বাবা ন্যায়বিচার পাবেন।
বিজ্ঞাপন
হাজী সোলায়মান বলেন, ‘সবাই জানে ১/১১ এর সময়ের তথাকথিত সরকার আজকের প্রধানমন্ত্রীসহ তার ঘনিষ্ঠ ও রাজনৈতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সেই মামলায় তখনকার ক্যাঙ্গারু কোর্ট সাজা দিয়েছিল। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই আজকে আদালতে এসেছেন তিনি। এখন আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।’
নিজের বাবা সম্পর্কে সোলায়মান সেলিম বলেন, ‘আমার বাবা দলের দুঃসময়ের কান্ডারি ছিলেন। অসংখ্য নেতাকর্মী গড়ার কারিগর তিনি। দলের জন্য, এলাকার মানুষের জন্য অনেক করেছেন। আমার বাবা খুব অসুস্থ, তিনি নিজে নিজে চলতে পারেন না। শারীরিক সুস্থতার জন্য তার চিকিৎসা প্রয়োজন।’
সোলায়মান বলেন, ‘আইনের প্রতি আমরা শতভাগ আস্থাশীল। আমি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে উনার দ্রুত মুক্তি কামনা করছি।’
সেলিমপুত্র বলেন, ‘তিনি যেহেতু কথা বলতে পারছেন না তারপরও আমরা কাছাকাছি থাকায় অনেক কিছু জানি এবং বুঝি। তাই এখন কীভাবে কী করবেন সেটা নিয়ে আমরা দুঃশ্চিন্তায় আছি।’
বিজ্ঞাপন
বিইউ/জেবি