শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পুলিশে দেওয়া হলো নর্থ সাউথের ৪ ট্রাস্টিকে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২, ০৪:৫৪ পিএম

শেয়ার করুন:

পুলিশে দেওয়া হলো নর্থ সাউথের ৪ ট্রাস্টিকে

ক্যাম্পাসে জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্যকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ট্রাস্টিরা হলেন- এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান।


বিজ্ঞাপন


রোববার (২২ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন আদেশ দেন।

আদালতের আদেশের বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, ‘আদালত চারজনকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, ক্যাম্পাসে জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্যের জামিন বিষয়ে শুনানির সময় আদালত বলেন, এ সময়ের দুর্নীতি খুনের চেয়েও ভয়াবহ।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগাম জামিনের জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল।


বিজ্ঞাপন


গত ১২ মে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় মামলা করেন বলে জানিয়েছেন কমিশনের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান।

মামলার আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ডের চার সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিম্যাল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরবর্তীতে নিজেরা ওই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

এআইএম/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর