বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

জামিন নামঞ্জুর, জেলেই যেতে হচ্ছে হাজী সেলিমকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২, ০৩:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

জামিন নামঞ্জুর, জেলেই যেতে হচ্ছে হাজী সেলিমকে
ছবি সংগৃহীত

দুর্নীতির মামলায় ১০ বছর দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২২ মে) বিকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করে যেকোনো শর্তে জামিনের আবেদন করেন হাজী সেলিম।


বিজ্ঞাপন


১৩ বছর আগে বিচারিক আদালতের রায়ের পর মামলাটিতে ঢাকা-৭ আসনের এই সংসদ সদস্যকে মাসখানেক কারাগারে থাকতে হয়েছিল। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিনে বের হন তিনি। মাঝের এই সময়ে তিনি দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

হাজী সেলিমের আদালতে যাওয়ার আগে তার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী প্রাণ নাথ। জামিন আবেদনে উন্নত চিকিৎসা ও কারাগারে ডিভিশনের আবেদনও করেন ঢাকার এই সংসদ সদস্য।

দুপুর ২টার দিকে তার আত্মসমর্পণ করার কথা থাকলেও তিনি তিনটার দিকে আদালত চত্বরে আসেন। পরে আদালতে প্রবেশ করেন। কিছু সময় পর তার আবেদনের শুনানি হয়। কিছু সময় শুনানির পরই বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে ঢাকার এই সংসদ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।

হাজী সেলিমের আদালতে আসাকে কেন্দ্র করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেজন্য আদালত চত্বরে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার স্পেশাল জজ আদালত-৭ এর বিচারক তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। পরে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাজী সেলিমকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

পরবর্তীকালে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে দুদক। শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায়টি বাতিল করে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন হাইকোর্ট। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানি করা হয়।

শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল বেঞ্চ। রায়ে হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়।

২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের কপি আদালত থেকে নামে (রায় প্রকাশিত হয়)। পরে ৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়। আর রায়টি অফিসিয়ালি বিচারিক আদালতে কমিউনিকেট (পাঠানো) হয় ২৫ এপ্রিল। এরই মধ্যে গত ২৭ এপ্রিল থেকে কোর্ট বন্ধ হয়ে যায়। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ দিন সময় পান ঢাকার এই সংসদ সদস্য। সে হিসেবে আজ বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর