বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

হাজী সেলিমকে ‘একনজর’ দেখতে আদালত চত্বরে সমর্থকরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২, ০৩:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

হাজী সেলিমকে ‘একনজর’ দেখতে আদালত চত্বরে সমর্থকরা

শারীরিক অসুস্থতার কারণে হারিয়েছেন বাকশক্তি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আছেন বিপাকে। এমন অবস্থার মধ্যেও প্রভাব কমেনি পুরান ঢাকা-৭ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের। তাই তো নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসার আগেই তার কর্মী-সমর্থকরা ভিড় করেছেন পুরান ঢাকার আদালত চত্বরে।

রোববার (২২ মে) দুপুরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া হাজী সেলিমের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার কথা।


বিজ্ঞাপন


ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এ হাজী সেলিম তার আইনজীবীসহ উপস্থিত হয়ে বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। তবে বেলা তিনটা পর্যন্ত তিনি আত্মসমর্পণ করেননি।

হাজী সেলিমের সমর্থকরা বলছেন, আত্মসমর্পণ করার পর জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার জন্য আগেভাগেই তারা আদালত চত্বরে এসেছেন।

সাগর আহমেদ নামে একজন যুবলীগ কর্মী এসেছেন চকবাজার থেকে। ঢাকা মেইলকে সাগর বলেন, আমাদের বিপদের সময় সেলিম ভাইকে পাশে পেয়েছি। আজকে তার বিপদ স্বাভাবিক কারণেই আমাদের পাশে থাকা উচিত।

এসময় পাশে দাঁড়ানো আরেকজন বলেন, জামিন চাইলেও পাবেন বলে মনে হয় না। অন্তত কোর্টে এসে নেতাকর্মীদের দেখলে মানসিকভাবে শান্তি পাবেন সেলিম ভাই।


বিজ্ঞাপন


লালবাগ, চকবাজারসহ হাজী সেলিমের নির্বাচনী এলাকার অনেকে দলবদ্ধভাবে এসেছেন আদালত চত্বরে। ফলে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও বেশি দেখা গেছে। ফলে যানজটও কিছুটা বেড়েছে ওই এলাকায়।

হাজী সেলিমের আদালতে আসার খবরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

আদালত চত্বর ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি পয়েন্টেই পুলিশের উপস্থিতি অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। যাতে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির তৈরি না হয় সেজন্য তারা সতর্ক রয়েছেন।

গত ২৫ এপ্রিল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহালের রায় হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার কথা।

মাঝে তার আইনজীবী বলেছিলেন ১৬মে হাজী সেলিম আত্মসমর্পণ করবেন। কিন্তু করেননি। অন্যদিকে মাঝে তিনি হঠাৎ করে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যাওয়ায় এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও তিনি কয়েকদিনের ব্যবধানে ফিরে আসেন।

গত ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। রায় প্রদানকারী বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের স্বাক্ষরের পর এ রায় প্রকাশ করা হয়।

তবে তিন বছরের দণ্ড থেকে খালাস পান তিনি। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন।

পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর