কোটা সংস্কার আন্দোলনে নাশকতার বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার যুবদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ২০৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নাশকতার ৬৭টি মামলায় ২০৭ জনকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। প্রত্যেক আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা গ্রেফতার ব্যক্তিদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বনানীর সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শুনানির সময় নুরুল হকের আইনজীবীরা আদালতের কাছে অভিযোগ করেন রিমান্ডে নিয়ে নুরুলকে নির্যাতন করা হয়েছে।
রামপুরা থানার মামলায় গ্রেফতার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি নেতা আমিনুল হক, এম এ সালাম, সায়েদুল আলম ও মাহমুদুস সালেহীনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নাশকতার বিভিন্ন মামলায় মিরপুর থানার পুলিশ ২৬ জন, মোহাম্মদপুর থানা ২৪ জন, যাত্রাবাড়ী থানা ১৮ জন, কদমতলী থানা ১০ জন, ডেমরা ও লালবাগ থানা ৯ জন করে; ভাটারা, তেজগাঁও, পল্লবী, কাফরুল, কোতোয়ালি ও শাহজাহানপুর থানা ৮ জন করে এবং চকবাজার থানা ৭ জনকে গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতে হাজির করে। এর বাইরে উত্তরা পূর্ব ও ধানমন্ডি থানা ৬ জন করে; আদাবর, শাহবাগ ও বনানী থানা ৫ জন করে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। এ ছাড়া ওয়ারী ও পল্টন থানা ৪ জন করে; গেন্ডারিয়া, খিলগাঁও ও রূপনগর থানা ৩ জন করে; ক্যান্টনমেন্ট, তুরাগ, বংশাল ও সবুজবাগ থানা ২ জন করে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। এ ছাড়া কলাবাগান, উত্তরা পশ্চিম, রমনা ও বাড্ডা থানা-পুলিশ একজন করে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে।
বিজ্ঞাপন
/এএস
