ঘুষ লেনদেনের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে রিভিশন করা হয়েছে। এতে এনামুল বাছিরের সাজার পরিমাণ বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৬ মে) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করে দুদক।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় এনামুল বাছিরকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিশন করেছি। সাজা বৃদ্ধি চেয়েছি। আগামীকাল এই রিভিশন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
দুদকের দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজানকে তিন বছরের এবং দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে একটিতে তিন বছর অপর ধারায় পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আদালত এ আদেশ দেন।
এনামুল বাছিরকে দণ্ডবিধি আইনের ১৬১ ধারায় তিন বছর ও মানিলন্ডারিং আইনের ধারায় পাঁচ বছরসহ মোট আট বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুটি ধারায় শাস্তি একসঙ্গে চলবে বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেন। ফলে বাছিরকে পাঁচ বছর সাজা ভোগ করতে হবে। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। তার আগে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি করেছিলেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।
প্রসঙ্গত, ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর খন্দকার এনামুল বাছির ও ডিআইজি মিজানুর রহমান ওরফে মিজানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাদের পদ থেকে।
এআইএম/জেবি

