রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

আশা করি ন্যায় বিচার পাবো: ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ মার্চ ২০২৪, ১২:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

আশা করি ন্যায় বিচার পাবো: ড. ইউনূস
ছবি: সংগৃহীত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় জামিন মেয়ার বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আইনের প্রক্রিয়া চলমান থাকুক। ন্যায় বিচার পাবো এটাই আশাকরি। যে সময়টা অন্য কাজ করতে পারতাম, সে সময়ে মামলা নিয়ে দৌড়াতে হচ্ছে।

রোববার (৩ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল ড. ইউনূসসহ চারজনের আবেদনের ভিত্তিতে তাদের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। পরে আদালত থেকে বেরিয়ে একথা বলেন তিনি। 


বিজ্ঞাপন


এর আগে শ্রম আইনের মামলায় ড. ইউনূসহ ৪ আসামিকে জামিন দিয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তী শুনানির দিন ১৬ এপ্রিল ধার্য করা হয়েছে। 

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এই মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন আদালত।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

আরও পড়ুন
শ্রম আইন লঙ্ঘনে ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর